অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সেক্রেটারির পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ। এ পদের ব্যক্তির যেমন থাকতে হয় যোগ্যতা তেমন থাকতে হয় ব্যক্তিত্বও। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উপ প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে আশরাফুল আলম খোকন নামে ছাত্রলীগের এমন একজন নেতাকে নিয়োগ দিয়েছেন যার ব্যাপারে প্রতিদিনই বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে।
আশরাফুল আলম খোকন প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শুধু বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনাই করছেন না, ইয়াবা সেবন, খুন-হত্যা ও ধর্ষণের দায়ে যেসব ছাত্রলীগ নেতা দল থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে তাদেরকেও পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি ছাত্রলীগের ধর্ষকদেরকে তিনি নির্লজ্জভাবে নির্দোষ প্রমাণেরও চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আশরাফুল আলম খোকন বিএনপি-জামায়াত ও বিশেষ করে খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রতিদিন ফেসবুকে যেসব স্ট্যাটাস দিচ্ছেন সবগুলোই অবাস্তব। কোনো প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়াই তিনি সব কিছুর দায়ভার বিএনপি-জামায়াতের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সেক্রেটারির পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় বসে সারাদিন মিথ্যা-ভিত্তিহীন, অসত্য ও মনগড়া তথ্য উপাত্ত দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করায় রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষও এখন তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সেক্রেটারির পদে আশরাফুল আলম খোকনের মতো এমন ব্যক্তিত্বহীন লোক কখনো নিয়োগ পায়নি বলে মনে করছেন তারা।
আর খোকন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে সর্বশেষ যে মিথ্যাচার করেছেন এতে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ অবাক হয়ে গেছেন।
২০১৫ সালের ১ নভেম্বর লন্ডনের পার্ক প্লাজায় খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যের এরশাদের অংশটুকু কাটছাট করে এটাকে তারেক রহমানের প্রসঙ্গ বলে চালিয়েছেন আশরাফুল আলম খোকন। তার ধারণা ছিল জালিয়াতির ঘটনা মানুষ ধরতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ যে এখন আর এত বোকা নয় সেটা মনে হয় খোকন জানেন না।
ইতিমধ্যে লন্ডনে দেয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের মূল ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। খোকন যে ভিডিওটি কাটছাট করেছে সেটা বুঝার জন্য মনে হয় কোনো বিশেষজ্ঞের দরকার নাই। খোকনের তৈরি ভিডিও আর খালেদা জিয়ার মূল বক্তব্যের ভিডিও শুনলে একজন সাধারণ মানুষও পার্থক্যটা ধরতে পারবে।
আশরাফুল আলম খোকন চাচ্ছিলেন জালিয়াতি করে খালেদা জিয়াকে হেয়প্রতিপন্ন করতে। কিন্তু ঘটনা এখন সম্পুর্ণ হিতে বিপরীত। খালেদা জিয়ার নামে ভুয়া ডিভিও ছড়ানোয় বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরাও কঠোর ভাষায় খোকনের সমালোচনা করেছেন।
অনেকে বলছেন, ছাত্রজীবনে খোকন একজন মাদকসেবক ও বখাটে ছিলেন। তার মতো একজন বখাটেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো ঠিক হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। তার অতি ভন্ডামী বা অতি মিথ্যাচার প্রধানমন্ত্রীকেও ডুবিয়ে ছাড়বে। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃত করে হেয়প্রতিপন্ন করায় তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।