খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর গণসংযোগ চলাকালে তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মুন্সি নাজমুল আলম নাজুর নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনে দেয়া অভিযোগ থেকে জানা গেছে। এতে মহানগর ছাত্রদল নেতা আল আমিন তালুকদার ও বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদসহ ৫/৬ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নগরীর খালিশপুর থানাধীন ১৫ নং ওয়ার্ডের আলমনগর মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ওই এলাকায় দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বে আলমনগর মোড় এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মুন্সি নাজমুল আলম নাজুর নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের একটি মিছিল নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা রির্টানিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগ পেয়ে তিনি ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাশেদুল ইসলামকে ঘটনাটি জানান।
রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে পুলিশ যাওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুন্সি নাজমুল আলম নাজুর নেতৃত্বে আমাদের প্রার্থীর গণসংযোগ বহরে অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমাদের ছাত্রদল নেতা আল আমিনসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। তিনি এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
রিটার্নিং অফিসার মো. ইউনুচ আলী বলেন, বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
সূত্র: মানবজমিন