অ্যানালাইসিস বিডি ডেস্ক
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে মরিয়া সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল। এ পদ বাগিয়ে নিতে ছাত্রত্বের প্রমাণ স্বরূপ তার স্নাতকের মার্কশিট ও সনদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছে তার অনুসারীরা। কিন্তু তাতে সনদ ইস্যুর তারিখ এবং ফলাফল প্রকাশের তারিখের মধ্যে অসঙ্গতি দেখা গেছে। অভিযোগ উঠেছে ভুয়া সনদ তৈরি করে ছাত্রত্ব প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে।
সনদ এবং মার্কশিট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সনদটি ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই ইস্যু করা হয়েছে। কিন্তু মার্কশিটে ফলাফল প্রকাশের তারিখ ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। ফলাফল প্রকাশ ও সনদের তারিখের মধ্যে সময়ের ব্যবধান প্রায় ৭ মাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী, ফলাফল প্রকাশের পূর্বে সনদ ইস্যু করার কোন নিয়ম নেই। কিন্তু চবি ছাত্রলীগের আসন্ন কমিটিতে পদ প্রত্যাশী মিজানুর রহমান বিপুলের সনদ ইস্যু ফলাফল প্রকাশের আগেই উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক খালেদ মিসবাহুল মোকাররবিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ফলাফল প্রকাশের পর মার্কশিট ইস্যু করা হয়। এরপর সনদের জন্যে যথাযথ নিয়মে আবেদন করার পর সনদ প্রদান করা হয়। ফলাফল প্রকাশের তারিখের আগে কোনভাবেই সনদ ইস্যুর সুযোগ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে মিজানুর রহমান বিপুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।