বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের ১০০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্বাচনের তামাশা দেখতে চাই না। সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে নির্বাচনে। সাহসী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের পরে দেশের মানুষকে শান্তি দেয়ার জন্য ৫ বছরের জন্য একটি জাতীয় সরকার চাই। সেখানে সহিংসতা হবে না, আগুন জ্বালানো হবে না। কোনো অন্যায়-অত্যাচার-অবিচার হবে না।’
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে অল কমিউনিটি ক্লাবে ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের আয়োজনে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার ওমর ফারুক প্রমুখ।
যুক্তফ্রন্ট গঠনের কারণ তুলে ধরে বি. চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা নিউক্লিয়াস গঠন করেছি, যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছি। এর মাধ্যমে আমরা একটা নেতৃত্ব দিতে চাই। যেই নেতৃত্বে চরিত্র থাকবে। যেই নেতৃত্বে সততা থাকবে এবং যেই নেতৃত্বে কথা বলার দাম থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শক্তির উত্থান চেয়েছি। সেই শক্তির মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে সরকারি দলকে সাবধান করে দিতে পারব। দেশের ভবিষ্যৎ শুধু জনগণের হাতে চলে যাবে আপনারা কিছুই করতে পারবেন না।’
বিরোধী দলকে সমাবেশ করতে না দেয়া, হাজার হাজার নেতাকর্মীদের কারাগারে আটকিয়ে রাখা কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না বলে মন্তব্য করেন বি. চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ থেকে উত্তরণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। আমরা এটা আদায় করব।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতির সামনে আজকে যে সংকট সেই সংকট কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই সংকট আজকে সমগ্র জাতির। সংকট উত্তরণে একটা ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়েই আমরা এই ভয়াবহ শক্তিকে পরাজিত করতে পারব।’
কারাবন্দি খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আবার আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তাকে গ্রেফতারের পর থেকেই। তাকে আটকিয়ে রাখার জন্যই এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কয়েকদিনে ১১১ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এটা সত্যি সত্যি একটা মৃত্যুর মিছিল বলতে পারেন। সেই মিছিল চলছে, থামছে না। আমরা অনেক অনুনয়-বিনয়, প্রতিবাদ করেছি। সংসদ সদস্যকে প্রমাণ ছাড়া গ্রেফতার করা যায় না। যাদের হত্যা করা হচ্ছে তাদের নামে অভিযোগ আছে তারও কোনো প্রমাণ নেই, তাহলে এদের গুলি করে মারবেন কেন?’
সূত্র: যুগান্তর