নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও নবগঠিত যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ভারত সফরের পর প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে তাঁর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে করণীয় বিষয়ে প্রবীণ এক সাংবাদিকের পরামর্শ অতীতের তোষামোদের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়নে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।
৩০ মে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে তাকে নোবেল পুরস্কার পেতে পরামর্শ দেন সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। এ সময় শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি এখন নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। আপনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত। এ জন্য লবিস্ট নিয়োগসহ কিছু বিষয় আছে। সেগুলো অনুসরণ করতে হয়। অ্যামনে অ্যামনে কখনো আপনি নোবেল পুরস্কার পাবেন না। এ প্রক্রিয়া শুরুর এখনই সময়, আমার মনে হয় আমরা এখনই সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে পারি।’ জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি নোবেল পুরস্কার চাই না। লোবিস্ট নিয়োগের সামার্থ্য আমার নেই। থাকলেও এটা করতে দিবো না।’
গণভবনে সাংবাদিকদের প্রবেশাধীকার নিয়ে আজ মান্না বলেন, ‘শুধু নির্ধারিত সাংবাদিকরাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেন। দলীয় ও তোষামোদকারী সাংবাদিক ছাড়া বিরুদ্ধ মতের কারো সেখানে প্রবেশের অনুমতি নেই।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যে সংবাদ সম্মেলন করেন- ওইটা পছন্দ করে করে লোক ডাকে। যে একটু ত্যাড়াব্যাড়া ওর কোনো প্রবেশাধিকার নেই ওখানে। সেটা টিভির হোক, সোশ্যাল মিডিয়ার হোক, প্রিন্ট মিডিয়ার হোক। কেউ ঢুকতে পারবেন না।’
একই আলোচনায় অংশ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী মাদকবিরোধী অভিযানের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারে পৌর কাউন্সিলর একরাম হত্যার বিষয়ে অডিও ও তাঁর পরিবারের আহাজারি সচেতন সবার বিবেককে নাড়া দিয়েছে।
সূত্র: শীর্ষনিউজ